বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

কেউ কথা রাখেনি কবিতা - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

 কেউ কথা রাখেনি কবিতা

- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়---বন্দী জেগে আছো


কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।

মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন প্রহরের বিল দেখাবে?

একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
কত রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!
বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!

বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি
দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে-কোনো নারী।
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কবিতা

 বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

কবি ইমদাদ শাহ্

ছাত্র শ্রমিক মজুর মিলে আমরা অনিঃশেষ
বিশ্ব বুকে জেগেই রবে বৈষম্যহীন এক বাংলাদেশ
রবে না যেথা রক্তধারা
মায়ের চোখের অশ্রুধারা

যেথায় অন্যায়-অবিচার
যেথায় গুলি নির্বিচার

ছাত্র ছত্র আম জনতা
রুখে দে ওদের অধীনতা
ভন্ড নেতার মদদ ঘাট
ভেঙে চুরে কর রে লোপাট

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

জজ কোর্ট নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন, আবেদন ফরম, প্রশ্ন প্যাটার্ন, সাজেশন । চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন । অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত । মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত








সাজেশন download click here pdf



বিভিন্ন জেলা জজ আদালত, জজ কোর্ট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইত্যাদি বাংলাদেশে প্রচলিত বিভিন্ন আদোলতে বিভিন্ন পদে আবেদন চলছে। সাধারণত এই আবেদনগুলো হাতে কলমে পূরণ করতে হয়। আবেদন ফরম কেমন হতে হবে অনেকেরই এরকম একটা প্রশ্ন আছে। আমারও নমুনা স্বরূপ নিচে একটি আবেদন ফরম তুলে ধরলাম। নিয়োগ ফরম পূরণ করার আগে অবশ্যই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ভালো করে পড়ে নেবেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখিত সবকিছু অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে । নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যা যা চাইবে তাই দিতে হবে আপনাদের। কোন কিছু ভুল করলে অবশ্যই আপনার আবেদন ফরম বাতিল হবেই । তাই খুব যত্ন সহকারে আবেদন ফরম পূরণ করবেন । আবেদন করা হয়ে গেলে নিজের পড়ায় মনোযোগ দিন । আগে থেকে নিজেকে প্রস্তুত করুন । পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে চাকরির পরীক্ষায় কখনো ভালো কিছু করা যায় না । এখানে পাস ফেল বলতে কোন কথা নেই। যতজন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে তততমের মধ্যে থাকতে হবে । তাই পরীক্ষার আগে নয় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন।
বিভিন্ন জেলা জজ আদালত, জজ কোর্ট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইত্যাদি বাংলাদেশে প্রচলিত বিভিন্ন আদোলতে বিভিন্ন আবেদন ফরম, প্রশ্ন প্যাটার্ন, সাজেশন পেতে আমাদের whatsapp এ নক দিন |










আবেদন form download করতে এখানে click করুন



দিনাজপুর জজ কোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪



দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি



চট্টগ্রাম জজ কোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪



জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিনাজপুর
কুমিল্লা জজ কোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
ঢাকা জজ কোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
রাজশাহী জজ কোর্ট নিয়োগ ২০২৪
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
টাঙ্গাইল জজ কোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪












শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪

বীর পুরুষ কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর || Birpurush kobita lyrics

 বীরপুরুষ

ছোটদের ছড়া-কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে ।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ’পরে
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে ।
রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে
রাঙা ধুলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে ।

সন্ধে হল,সূর্য নামে পাটে
এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে ।
ধূ ধূ করে যে দিক পানে চাই
কোনোখানে জনমানব নাই,
তুমি যেন আপনমনে তাই
ভয় পেয়েছ; ভাবছ, এলেম কোথা?
আমি বলছি, ‘ভয় পেয়ো না মা গো,
ঐ দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা ।’

চোরকাঁটাতে মাঠ রয়েছে ঢেকে,
মাঝখানেতে পথ গিয়েছে বেঁকে ।
গোরু বাছুর নেইকো কোনোখানে,
সন্ধে হতেই গেছে গাঁয়ের পানে,
আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে,
অন্ধকারে দেখা যায় না ভালো ।
তুমি যেন বললে আমায় ডেকে,
‘দিঘির ধারে ঐ যে কিসের আলো!’

এমন সময় 'হারে রে রে রে রে’
ঐ যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে ।
তুমি ভয়ে পালকিতে এক কোণে
ঠাকুর দেবতা স্মরণ করছ মনে,
বেয়ারাগুলো পাশের কাঁটাবনে
পালকি ছেড়ে কাঁপছে থরোথরো।
আমি যেন তোমায় বলছি ডেকে,
‘আমি আছি, ভয় কেন মা কর।’

হাতে লাঠি, মাথায় ঝাঁকড়া চুল
কানে তাদের গোঁজা জবার ফুল ।
আমি বলি, ‘দাঁড়া, খবরদার!
এক পা আগে আসিস যদি আর -
এই চেয়ে দেখ আমার তলোয়ার,
টুকরো করে দেব তোদের সেরে ।’
শুনে তারা লম্ফ দিয়ে উঠে
চেঁচিয়ে উঠল, ‘হারে রে রে রে রে।’

তুমি বললে, ‘যাস না খোকা ওরে’
আমি বলি, ‘দেখো না চুপ করে।’
ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে,
ঢাল তলোয়ার ঝন্‌ঝনিয়ে বাজে
কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে,
শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা।
কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে,
কত লোকের মাথা পড়ল কাটা।

এত লোকের সঙ্গে লড়াই করে
ভাবছ খোকা গেলই বুঝি মরে।
আমি তখন রক্ত মেখে ঘেমে
বলছি এসে, ‘লড়াই গেছে থেমে’,
তুমি শুনে পালকি থেকে নেমে
চুমো খেয়ে নিচ্ছ আমায় কোলে -
বলছ, ‘ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল!
কী দুর্দশাই হত তা না হলে।’

রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা -
এমন কেন সত্যি হয় না আহা।
ঠিক যেন এক গল্প হত তবে,
শুনত যারা অবাক হত সবে,
দাদা বলত, ‘কেমন করে হবে,
খোকার গায়ে এত কি জোর আছে।’
পাড়ার লোকে বলত সবাই শুনে,
‘ভাগ্যে খোকা ছিল মায়ের কাছে।’

কাজলা দিদি কবিতা যতীন্দ্র মোহন বাগচী

 কাজলা দিদি

ছোটদের ছড়া-কবিতা, দেশের কবিতা, বিরহের কবিতা, রূপক কবিতা,

যতীন্দ্র মোহন বাগচী



বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,

মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই-
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;-
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন, দিদি বলে ডাকি তখন,
ওঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মত ফাঁকি দিয়ে, আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে,
আমিও নাই-দিদিও নাই- কেমন মজা হবে।
ভুঁই চাপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল।
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা, ছিঁড়তে গিয়ে ফল,-
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবি কি মা বল!
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে’
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতে জেগে রই
রাত্রি হলো মাগো আমার কাজলা দিদি কই?

ছোটদের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের

 চড়িভাতি

ছোটদের ছড়া-কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফল ধরেছে বটের ডালে ডালে ;
অফুরন্ত আতিথ্যে তার সকালে বৈকালে
বনভোজনে পাখিরা সব আসছে ঝাঁকে ঝাঁক—
মাঠের ধারে আমার ছিল চড়িভাতির ডাক ।
যে যার আপন ভাঁড়ার থেকে যা পেল যেইখানে
মালমসলা নানারকম জুটিয়ে সবাই আনে ।
জাত-বেজাতের চালে ডালে মিশোল ক'রে শেষে
ডুমুরগাছের তলাটাতে মিলল সবাই এসে ।
বারে বারে ঘটি ভ'রে জল তুলে কেউ আনে ,
কেউ চলেছে কাঠের খোঁজে আমবাগানের পানে ।
হাঁসের ডিমের সন্ধানে কেউ গেল গাঁয়ের মাঝে ,
তিন কন্যা লেগে গেল রান্নাকরার কাজে ।
গাঁঠ-পাকানো শিকড়েতে মাথাটা তার থুয়ে
কেউ পড়ে যায় গল্পের বই জামের তলায় শুয়ে ।
সকল-কর্ম-ভোলা
দিনটা যেন ছুটির নৌকা বাঁধন-রশি-খোলা
চলে যাচ্ছে আপনি ভেসে সে কোন্‌ আঘাটায়
যথেচ্ছ ভাঁটায় ।
মানুষ যখন পাকা ক'রে প্রাচীর তোলে নাই
মাঠে বনে শৈলগুহায় যখন তাহার ঠাঁই ,
সেইদিনকার আল্‌গা-বিধির বাইরে-ঘোরা প্রাণ
মাঝে মাঝে রক্তে আজও লাগায় মন্ত্রগান ।
সেইদিনকার যথেচ্ছ-রস আস্বাদনের খোঁজে
মিলেছিলেম অবেলাতে অনিয়মের ভোজে ।
কারো কোনো স্বত্বদাবীর নেই যেখানে চিহ্ন ,
যেখানে এই ধরাতলের সহজ দাক্ষিণ্য ,
হালকা সাদা মেঘের নিচে পুরানো সেই ঘাসে ,
একটা দিনের পরিচিত আমবাগানের পাশে ,
মাঠের ধারে , অনভ্যাসের সেবার কাজে খেটে
কেমন ক'রে কয়টা প্রহর কোথায় গেল কেটে ।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

জীবনানন্দ দাশের কষ্টের কবিতা জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কবিতার নাম জীবনানন্দ দাশের কবিতার লাইন জীবনানন্দ দাশের রোমান্টিক কবিতা pdf জীবনানন্দ দাশের কবিতা ক্যাপশন জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কবিতা বনলতা সেন

  সময়ের কাছে সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ’লে যেতে হয় কি কাজ করেছি আর কি কথা ভেবেছি। সেই সব একদিন হয়তো বা কোনো এক সমুদ্রের পারে আজকের প...